বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অপমানে দশম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

রাজশাহীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্রী। সহপাঠী, শিক্ষক ও স্বজনরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর বাবা ফজলে জোয়ার্দার জানান, রাজশাহী কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জামিউল ইসলাম জয় তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে জামিউল তাতে অস্বীকার করেন। এতে লাঞ্ছনা সইতে না পেরে সেদিনই বাড়ি ফিরে সবার অগোচরে কীটনাশক পান করে ওই ছাত্রী। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়। ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মারিয়া গ্রামে। সে স্থানীয় মারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

এদিকে, ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনসহ স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা।

এক শিক্ষক বলেন, আমরা এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাই। ভবিষ্যতে যেনো এমন ঘটনা আর না ঘটে।

এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আপাতত রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন